নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক গাজী হাবিব উল্যাহ মানিক বলেন, অতীতের সকল জুলুম-নির্যাতনের বিচার করা হলে ভবিষ্যতে আর স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে না। আয়নাঘর নির্যাতনের লোমহর্ষক কাহিনী বলে শেষ করা যাবে না। ফ্যাসিবাদের অত্যাচার, নির্যাতনের স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে যাহা বলতে গেলে সাগরের পানি শুকিয়ে যাবে।
৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের আত্মর মাগফিরাত কামনা ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে জেলা যুবদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, ২০১০ সালে যখন আমি যুবদলের সভাপতি থাকাকালে তখন আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গাজী হোটেলে অবস্থান করছি। তখন হঠাৎ তৎকালীন ফেনী মডেল থানার ওসি আমিনুল গাজী হোটেলে দীর্ঘসময় তল্লাশীর নামে হয়রানি করে কিছু না পেয়ে আমাকে বলে থানায় নিয়ে যায়। আমি বললাম কেন আমি থানায় যেতে হবে। তখন সে আমাকে থানায় নেয়ার পথে গাজী হোটেলের নিচে দৈনিক ফেনীর সময় এর সাংবাদিক সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তখন আমি দুই হাত উপরের দিকে তুলে বলেছিলাম দেখেন আমার কাছে কোন প্রকার অস্ত্র নেই। ঠিক পরেরদিন দৈনিক ফেনীর সময় সহ বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ হয়েছে নিরস্ত্র গাজী মানিককে অস্ত্র দিয়ে চালান করলো ওসি আমিনুল। সেইদিন উপস্থিত সাংবাদিকরা ছবি তুলেছেন এবং ভিডিও করেছেন কিন্তু তারা সেইগুলোর কোন তোয়াক্কা করেনি। তারা মামলা দেয়ার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ তখন উঠেছিল। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানাবো সকল অপকর্মের তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের মুখোমুখো না করা হলে ফ্যাসিবাদ থেকে মানুষ শিক্ষা নেবে না।
সোমবার দুপুরে শহরের সিজলার চাইনিজ রেস্টুরেন্টে জেলা তাঁতী দলের আয়োজনে আয়নাঘর এর স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা তাঁতী দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহজাহান পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা তাঁতী দলের আহবায়ক সরওয়ার জাহান শ্রাবণ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা তাঁতী দলের সদস্য মো: ইয়াছিন, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য এম এ কামাল, পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী, জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির ইমাম ভুট্টু ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু আইয়ুব আনছারী শামীম, তাঁতী দলের যুগ্ম-আহবায়ক এডভোকেট ইমাম উদ্দিন ও মাইন উদ্দিন স্বপন, সাবেক ছাত্রনেতা জাফর চৌধুরী, জেলা তাঁতী দল নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, দাগনভূঞা উপজেলা সদস্য সচিব মাস্টার আবদুল করিম, সদর উপজেলা সদস্য সচিব নাসির উদ্দিন রুমন, দাগনভূঞা পৌর সদস্য সচিব শরীফ হোসেন, ছাগলনাইয়া উপজেলা সদস্য সচিব মিজানুর রহমান, পরশুরাম পৌর আহবায়ক আরিফ চৌধুরী, পরশুরাম পৌর সদস্য সচিব জহির চৌধুরী প্রমুখ।