দৈনিক ফেনীর সময়

কোম্পানীগঞ্জে নদী থেকে বালু উত্তোলন, চেয়ারম্যানের প্রতিবাদ

কোম্পানীগঞ্জে নদী থেকে বালু  উত্তোলন, চেয়ারম্যানের প্রতিবাদ

নোয়াখালী প্রতিনিধি :

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছোট ফেনী নদীর মুছাপুর অংশ থেকে বালু উত্তোলনের সাথে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জড়িত রয়েছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে দাবি করে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী। এসময় তিনি ছোট ফেনী নদীর কোম্পানীগঞ্জ ও ফেনী অংশ থেকে অবাধে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ এবং বালু উত্তোলনের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আইয়ুব আলী বলেন, “ছোট ফেনী নদীর কোম্পানীগঞ্জ অংশ থেকে অবাধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির ঘটনায় আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে গতকয়েকদিন ধরে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি কুচক্রি মহল। আমার রাজনৈতিক ইমেজ সংকটে ফেলতে, আমার রাজনৈতিক মেরুদন্ড ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা, আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক অভিযোগ এনে প্রচার করা হচ্ছে। বালু উত্তোলনের সাথে আমার জড়িত থাকার অভিযোগটি সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যমূলক ও ভিত্তিহীন। আমি এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমি জনগনের ভোটে নির্বাচিত একজন ইউপি চেয়ারম্যান। নিয়ম মেনে নৈতিক ও পেশাগত দায়িত্ব থেকে সততা ও সাহসিকতার সাথে এলাকার লোকজনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমার এসব কর্মকা-ে ঈর্ষান্বিত ও আমার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে আমার প্রতিপক্ষের ইশারায় আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। ছোট ফেনী নদী থেকে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমি নিজে গ্রাম-পুলিশদের নিয়ে একাধিকবার অভিযান করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যানকে একাধিকবার অবগত করার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা মিটিং এ বালু উত্তোলনের বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হয়েছে। বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আমি এবং আমার পরিষদ সবসময় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। এ বিষয়ে কাউকে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।”

চেয়ারম্যান অভিযোগ করে আইয়ুব বলেন, “চরএলাহী স্টীল ব্রিজ, চরহাজারী ৯নং ওয়ার্ড সহ উপজেলার আরও একাধিক স্থান থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এছাড়াও মুছাপুর ৫,৭ ও ৯নং ওয়ার্ড সহ উপজেলার প্রায় সবকয়টি ইউনিয়নের ফসলী জমি থেকে রাতের আঁধারে মাটি কাটা হচ্ছে। মাটি পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত পিকআপ গাড়িতে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীন সড়কগুলো। এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।।”

এসময় প্যানেল চেয়ারম্যান আহসান উল্যাহ ভুট্টো সহ কয়েকজন ইউপি সদস্য ও স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!