সময় ডেস্ক :
মোহাম্মদ সফিউল হক পেশায় ব্যাংক কর্মকর্তা। এই পরিচয়ের বাইরেও তিনি কবি, প্রাবন্ধিক, সমাজকর্মী, সংগঠক এবং সমাজচিন্তক। বরাবরই মেধাবী সফিউলের এসব কিছুর সাথে সাথে পড়ালেখার প্রতি রয়েছে পরম টান। গত ১৭ অক্টোবর প্রকাশিত ফলাফলে বাহরাইনভিত্তিক ইসলামিক ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং সংক্রন্ত স্ট্যান্ডার্ড সেটিং বডি ‘একাউন্টিং এন্ড অডিটিং অর্গানাইজেশন ফর ইসলামিক ফিনেন্সিয়াল ইনস্টিটিউশন (আওফি) কর্তৃক প্রবর্তিত এবং পরিচালিত আন্তর্জাতিক ফেলোশিপ ‘সার্টিফাইড শরীয়াহ এডভাইসর এন্ড অডিটর (সিএসএএ)’ ফেলোশীপ অর্জন করলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সিএসএএ ফেলোশিপ প্রোগ্রামটি বিশ্বব্যাপী ইসলামি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের শরীয়াহ পরিপালন এবং শরীয়াহ অডিট ও রিভিউয়ের প্রক্রিয়া সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত শিক্ষা এবং পেশাগত দক্ষতার সাথে প্রার্থীদের সজ্জিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ১২০০-এর অধিক সিএসএএ ফেলো রয়েছেন। ৭৫টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ইসলামিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং প্রফেশনাল বডিসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান এ ফেলোশিপকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ একচেঞ্জ কমিশন শরীয়াহ কমপ্লায়েন্সের ক্ষেত্রে আওফি কে মানদন্ড বিবেচনায় নিয়েছে। সিএসএএ পরীক্ষা জন্য বর্তমানে ৪৮টি শরীয়াহ স্ট্যান্ডার্ডস এবং ৪টি গভার্নেন্স স্ট্যান্ডার্ডস পড়তে হয়। এগুলো মূলতঃ ঐতিহ্যবাহী ফিকহ ইসলামী থেকে গ্রহণ করা এবং আধুনিক প্রয়েগযোগ্য পদ্ধতিতে সাজানো। মুয়ামালাতকে সুদমুক্ত করবার জন্যে পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী আলিমদের যাবতীয় প্রচেষ্টার আলোকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমুহের জন্য এটা একটি সংবিধান। বিশ্বের বরেণ্য আলেমদের একাধিক বৈঠকে বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনার পর এর একেকটি মানদন্ড গৃহীত হয়েছে। আলিমের শীর্ষে রযেছেন সমকালীন শ্রেষ্ঠ আলিম মুফতি তকী উসমানী। প্রতিটি শরঈ মতামতের দলীল আলাদা করে এপেন্ডিক্সে যুক্ত করা আছে। ফিকহুল ইবাদাতের মতো ফিকহুল মুয়ামালাত বিষয়ে প্রত্যেক মুসলিমের সচেতনতা প্রয়োজন। আলিম, জ্ঞান অনুসন্ধিৎসু পাঠক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চাকুরীজীবি এবং চাকুরী প্রার্থী, শরীয়াহ সুপারভাইজারী কমিটির সদস্যদের জন্য এ অধ্যয়ন অত্যাবশ্যক।
ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার দক্ষিন জায়লস্কর গ্রামে জন্ম নেয়া সফিউলের পিতা মরহুম মাস্টার ছেরাজুল হক ও মাতা নুর নাহার বেগম। বরাবরই মেধাবী সফিউল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে সম্মান এবং বায়োটেকনোলজিতে এম.এস ডিগ্রী অর্জন করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্বিবদ্যালয় থেকে কমনওয়েলথ এক্সিকিউটিভ এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করেন।বর্তমানে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ইন ক্রিমনোলজি এন্ড ক্রিমিনাল জাস্টিসে অধ্যয়নরত।তিনি মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, লিডারশীপ ও পিপল ম্যানেজমেন্ট এবং মার্কেটিং ও ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্টে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমাধারী। এছাড়াও তিনি ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকারস্ বাংলাদেশের ডিপ্লোমেট এসোসিয়েট ( ডিএআইবিবি)ও ইসলামী ব্যাংকিং এ ডিপ্লোমা ডিগ্রীধারী (ডিআইবি)।