শহর প্রতিনিধি :
‘ফেনীর রাজা’ খ্যাত সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা গভর্নর প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা খাজা আহমদের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার। ১৯৭৬ সালের এদিনে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ ইন্তেকাল করেন।
এদিকে তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে সকালে রামপুরে কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কবর জিয়ারত এবং বিকালে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
১৯২০ সালের মার্চ মাসে রামপুর সওদাগর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন খাজা আহম্মদ। তার পিতার নাম আসলাম মিয়া মোক্তার ও মাতার নাম আয়েশা খাতুন। এক রাজনৈতিক সংগ্রামবহুল জীবনের অধিকারী এই নেতা সাংবাদিকতা জগতেও বিচরন করেন। দীর্ঘদিন সাপ্তাহিক সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদনা করেন। কিশোর বয়সেই পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে খাজা আহম্মদ রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। উচ্চ শিক্ষিত না হয়েও তিনি ছিলেন স্বশিক্ষিত ও সুশিক্ষিত।
আপামর জনগণের বন্ধু খাজা আহমদ কিশোর বয়সেই পরাধীনতার নাগপাশ থেকে বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে, স্বাধীনতা অর্জনের জন্য উৎসর্গকৃত একজন মুসলিম যুবনেতা রূপে আবির্ভূত হন। পাকিস্তান আন্দোলনের চরম মুহূর্তে ভারতীয় মুসলমানদের স্বাধিকার আন্দোলনে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত করেন। স্বাধিকার আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে খাজা আহমদ ছিলেন প্রথম সারির নেতা। ফেনীর উন্নয়নেও অসামান্য অবদানের জন্য তাকে আজো শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে সর্বস্তরের মানুষ।
যুক্তফ্রন্টের তরফ থেকে ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য, ১৯৭০ সালে এমএনএ নির্বাচিত হন তিনি। বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকান্ডের পর মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে তিনি দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হন। ১৯৭৬ সালের ২৯ শে মে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।