দৈনিক ফেনীর সময়

এবার বিজনেস ল’তে মাস্টার্স ডিগ্রি করলেন আবদুল আউয়াল মিন্টু

এবার বিজনেস ল’তে মাস্টার্স ডিগ্রি করলেন আবদুল আউয়াল মিন্টু

অনলাইন ডেস্কঃ

এবার ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ল’তে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু। এর আগে তিনি এগ্রিকালচার অব ইকোনমিকস এবং মেরিন ট্রান্সপোর্টেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

প্রায় ৭৩ বছর বয়সী আবদুল আউয়াল মিন্টু দেশে করোনাকাল শুরু হওয়ার আগে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে আইনে মাস্টার্সে ভর্তি হন। সম্প্রতি কৃতিত্বের সাথে মাস্টার্স পাস করেন তিনি। তিন সন্তানের জনক আবদুল আউয়াল মিন্টুর জন্ম ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯ সালে ফেনীর দাগনভূঁইয়া উপজেলার আলাইয়ারপুরে। তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, মাল্টিমোড গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তবে ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি দেশে মানসম্পন্ন সবজি বীজ উৎপাদন ও সরবরাহে কাজ করে যাচ্ছেন। তার প্রতিষ্ঠিত লাল তীর সিড এখন দেশের শীর্ষ সবজি বীজ কোম্পানি। আবদুল আউয়াল মিন্টু ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৬৪ সালে এসএসসি ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ১৯৬৬ সালে এইচএসসি পাস করেন। মার্কেন্টাইল মেরিন একাডেমি চট্টগ্রাম থেকে ১৯৬৮ সালে ডিপ্লোমা করেন নৌবিজ্ঞানে। নিউ ইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৭৩ সালে মেরিন ট্রান্সপোর্টেশন বিজ্ঞানে বিএসসি ডিগ্রি ও ১৯৭৭ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৯৫ সালে কৃষি ব্যবসা শুরু করার পর সোয়াচ, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে এগ্রিকালচার অব ইকোনমিকসে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। সর্বশেষ ২০২২ সালে তৃতীয়বারের মতো ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের কুইন মেরি কলেজ থেকে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ল’তে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।

আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রথম জীবনে মেরিন একাডেমি থেকে জাহাজের ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। চাকরি করেন আমেরিকান জাহাজ কোম্পানিতে। ১৯৮১ সালে জাহাজ কোম্পানির চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে শুরু করেন শিপিং লাইনের ব্যবসা। আমেরিকান লাইনেই তিনি প্রথম পাঁচ-সাত বছর শিপিং ব্যবসা করেন। এরপর দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিল এবং প্রগতি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৩ সালে বেসরকারি ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম তিনি। ১৯৯৫ সালে কৃষি সেক্টরে ব্যবসায় হাত দেন। স্বনামধন্য বেসরকারি বীজ কোম্পানি লাল তীর সিডের চেয়ারম্যান তিনি। দেশের এক-তৃতীয়াংশ সবজি বীজ এই কোম্পানিই সরবরাহ করে। মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহে এই প্রতিষ্ঠানটি এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও লাল তীরের কার্যক্রম প্রসারিত হচ্ছে। এমন কী মরু অঞ্চল তথা মধ্যপ্রাচ্যেও সবুজ বিপ্লব ঘটাচ্ছে লাল তীর সিডের বীজ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!