দৈনিক ফেনীর সময়

প্রতারণার সুনিপুণ কারিগর পরশুরামের শামীমের খুঁটির জোর কোথায়

প্রতারণার সুনিপুণ কারিগর পরশুরামের শামীমের খুঁটির জোর কোথায়

নিজস্ব প্রতিনিধি : পরশুরামের শামীনুর রহমান শামীম নামের এক যুবক বিভিন্ন মানুষের সাথে ব্যবসার নামে প্রতারণার সুনিপণ কারিগর হিসেবে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শামীনুর পরশুরাম, ফেনী, খাগড়াছড়ি ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসার নামে েেকৗশলে মানুষ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আবার ওইসব লোককে মামলায় জড়িয়ে পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী দ্বীন মোহাম্মদ জানান, শামীনুর রহমান সাথে ২০২১ সালের ২৩ মার্চ তার সৌদি প্রবাসী ভাগিনা রবিউল করিমের মাধ্যমে পরিচয় হয়। অথচ সে দ্বীন মোহাম্মদের স্বাক্ষর জাল করে ১শ টাকার ৩টি নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে ভূয়া স্বাক্ষর দিয়ে ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি এক বছর আগে দেখানো হয়েছে। কিন্তু ২০২১ সালের ১ মার্চ ভূয়া অঙ্গীকারনামা প্রত্যায়িত করে ভূয়া অঙ্গীকারনামা সৃজন করে মিথ্যা ও অভিনব অভিযোগ সাজিয়ে মামলা দায়ের করেন। দ্বীন মোহাম্মদ স্বাক্ষর জালের অভিযোগে চ্যালেঞ্জ করে চলতি বছরের ৬ ফেব্রæয়ারি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও পরশুরাম আমলী আদালতে ন্যায় বিচারের জন্য স্বাক্ষর পরীক্ষা করার আবেদন করেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রিপোর্ট সংগ্রহ পূর্বক পরবর্তী ধার্য্য তারিখের মধ্যে আদালতে উপস্থাপন করার জন্য ফেনীর বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার সিআইডিকে নির্দেশ প্রদান করেন। শামীম মংলা কাস্টমস হাউজের নিলামকৃত বিভিন্ন মডেলের গাড়ী কম দামে খরিদ করে দিবে বলে ব্যাংক ডিপোজিট সিøপের মাধ্যমে ও নগদ এবং বিকাশে সর্বমোট ৬০ লাখ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। গাড়ি ডেলিভারি না দিয়ে টাকাগুলো আত্মসাত করে। ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর টাকা পরিশোধের অঙ্গীকার করেও সে টাকা পরিশোধ না করে স্ট্যাম্পে দ্বীন মোহাম্মদের স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া ডকুমেন্ট তৈরি করে।

শামীনুর রহমান কথিত টেন্ডার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স আবদুল্লাহ সাঈদ রাইস এন্ড সন্স’’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ভূয়া নাম ব্যবহার করে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে একাধিকবার জেল-জরিমানা হয়েছে। সে একজন শীর্ষস্থানীয় প্রতারক স্বরূপে দেশের বিভিন্ন আদালতে ও থানায় বিভিন্ন প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মামলায় বহুবার কারাগারে ছিল। সে কোটি টাকা ব্যয়ে পরশুরামের পূর্ব অলকা গ্রামে বিল্ডিং নির্মান করেছে। শামীনুর রহমান পরশুরাম উপজেলার পূর্ব অলকা গ্রামের ফিরোজ আহম্মদের ছেলে।

দ্বীন মোহাম্মদ অভিযোগ করেন, শামীনুর রহমান একজন চিহ্নিত বখাটে প্রতারক। সে আমায় ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে ৬০ লাখ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। সুকৌশলে মানুষকে ফুসলিয়ে ব্যবসাসহ নানা অজুহাতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। পরশুরাম, ফেনী, খাগড়াছড়ি, মংলা ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নজিরবিহীন প্রতারণায় অভিযোগ রয়েছে। টাকা উদ্ধার ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!