দৈনিক ফেনীর সময়

সুদিন ফিরেছে শাবিপ্রবির মেডিকেল সেন্টারে

সুদিন ফিরেছে শাবিপ্রবির মেডিকেল সেন্টারে

অনলাইন ডেস্ক:
সম্প্রতি সংস্কারের মাধ্যমে আধুনিকায়ন চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার। এবার আধুনিকায়নের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা, চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থাও সংযুক্ত করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির মেডিকেল সেন্টারে। বিশ্ববিদ্যালয়টির মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২১ সালের শেষের দিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার বিভিন্ন সংস্কারের মাধ্যমে আধুনিক রূপে সেবা দিয়ে আসছে। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার বাইরে জরুরি কিংবা বড় পরিসরে কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হলে তা পর্যাপ্ত ছিল না। এতে শিক্ষার্থীদেরকে শহরমুখী বিভিন্ন হাসপাতালে যেতে হতো। তাছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসার ওষুধপত্রেরও পর্যাপ্ত সরবরাহ ছিল না। নাপা, প্যারাসিটামল কিংবা প্রয়োজনীয় স্বল্প সংখ্যক ওষুধ মিলতো মেডিকেলে। এতে জরুরি প্রয়োজনে হতাশ হয়ে ফিরতে হতো শিক্ষার্থীদেরকে। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত ওষুধ রাখার দাবি জানিয়ে আসছে। এর প্রেক্ষিতে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মেডিকেল সেন্টার সংস্কারের বিষয়ে জানা যায়, মেডিকেল সেন্টার রং করে সুসজ্জিত করা হয়েছে। তাছাড়া নতুন করে আসবাবপত্র সংযুক্ত করা হয়েছে। সম্পূর্ণ মেডিকেল সেন্টারে বসানো হয়েছে টাইলস। নানাবিধ ওষুধ সম্বলিত ফার্মেসি স্থাপন করা হয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য মেডিকেল সেন্টারের আশপাশে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঔষধী, ফলদ ও বনজ গাছ। এছাড়া চব্বিশ ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্স সেবা ও রোস্টারে সার্বক্ষণিক ডাক্তার থাকছেন মেডিকেলে।

নতুন ওষুধ সংযুক্তি বিষয়ে জানা যায়, চিকিৎসার্থে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্কয়ার ফার্মাসিটিউটিক্যাল লি. ও বেক্সিমকো ফার্মাসিটিউটিক্যাল লি. থেকে সর্বমোট ৪৪ ধরনের ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে মেডিকেল সেন্টারে। যা মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসকের পরামর্শে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এখান থেকে শিক্ষার্থীরা নিতে পারবেন।

মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান আহমেদ বলেন, কয়েকদিন যাবত জ্বরে ভুগছিলাম। এজন্য মেডিকেলে এসেছি। ডাক্তার দেখালাম। ওষুধ লিখে দিয়েছেন। পরে মেডিকেল থেকে ওষুধও দিয়েছে। আগে মেডিকেলে আসলে না থাকতো ডাক্তার না থাকতো ওষুধ। এখন মেডিকেলে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে দেখে ভালো লাগলো। আশা করি, আগামীতেও এ ধরনের সেবা শিক্ষার্থীরা নিয়মিত পাবে।

পর্যাপ্ত মেডিকেল সেবা নিশ্চিতকরণে কাজ চলছে উল্লেখ করে মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. কবির হোসেন বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত চিকিৎসা দিয়ে আসছি। এখন পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে মেডিকেলে। স্কয়ার ও বেক্সিমকো কোম্পানি সরকার নির্ধারিত মূল্যে আমাদেরকে ওষুধ সরবরাহ করছে। শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে যেকোনো চিকিৎসা নিতে পারবে। তাছাড়া এখানে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা করার ব্যবস্থা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

Related Articles

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!