শহর প্রতিনিধি :
চাল-ডাল-তেল-আলু-পেঁয়াজ-বেগুন-সিমসহ ৩৭ ধরনের কৃষিপণ্যের বাজার দর নির্ধারণ করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। চাহিদার তুলনায় যোগান যথেষ্ট হলেও অজ্ঞাত কারণে দাম কমে না এসব পণ্যের। ফেনীতে এমন উর্ধ্বমূখী বাজার পরিস্থিতিতে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উপর ক্ষুদ্ধ ভোক্তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলা শহরের বিভিন্ন হাট-বাজার ও বিভিন্ন উপজেলা শহরের হাট-বাজারে নিত্যপণ্য ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য মনিটরিং করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ জেলা কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের নিয়োজিত কর্মকর্তা। খুচরা ও পাইকারি বাজার মূল্য সংগ্রহ করে ক্রয়মূল্য ও বিক্রয় মূল্যের তালিকা জেলা প্রশাসক সহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এমনকি সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে তথ্য প্রেরনের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু জেলা কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের কর্মকতা হারুন উর রশীদ মাঠ পর্যায়ে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। জেলা শহরের বেশ কয়েকজন পাইকারি আড়ৎ ও খুচরা ব্যবসায়ীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে মূল্য জেনে তিনি দায় সারেন।
সরেজমিনে বেশ কয়েকবার পশ্চিম উকিলপাড়ার কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় বন্ধ পাওয়া গেছে। আশপাশের বাসিন্দারা জানান, এ অফিসে মাঝে মাঝে লোকজন আসে, কিছুক্ষণ থেকে আবার বন্ধ করে চলে যান।
স্থানীয় বাসিন্দা তারেক মজুমদার জানান, একটি ভবনে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের একটি সাইন বোর্ড ঝুলানো রয়েছে। তবে কোথায় অফিস তাদের কাজ কি এ বিষয়ে জানা নেই।
বক্তব্য জানতে জেলা কৃষি বিপনন কর্মকতা হারুন উর রশীদকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট অভিষেক দাশ ফেনীর সময় কে জানান, বাজার মনিটরিং নিত্যপণ্যের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য নিয়মিত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক ও বানিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের নির্দেশনা রয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।