আরিফ আজম :
ফেনী জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে একদিকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ অন্যদিকে ধানের ফলন হয়েছে বাম্পার। তবুও উৎপাদন ব্যয় বেশি হওয়ায় মন ভালো নেই কৃষকের। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলার ৬ উপজেলায় হাইব্রিড ৪ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর ও উফশী ২৫ হাজার ৮শ ৮০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে আবাদ হয়েছে ৩০ হাজার ৯শ ৬৬ হেক্টর। হাইব্রিড ও উপশী জাতের ১ লাখ ১৭ হাজার ৮শ ৩১ মেট্টিক চালের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫৯শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান ও চাল উৎপাদন হলেও আগের চেয়ে খরচ বেড়ে গেছে অনেক বেশি। ফলে কৃষকরা ধান ও চালের ভালো দাম পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। জেলায় মাঠ থেকে প্রতিমণ ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাদ্য গুদামে কেনা হচ্ছে ১ হাজার ২শ টাকায়।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমীন আক্তার জানান, জেলা সদরের ১২ইউনিয়নে হাইব্রীড ৯১০ ও উফশী ৮ হাজার ১ হেক্টর আবাদ হয়েছে। ফলন বেশ ভালো হওয়ায় কৃষকরা খুশী। ইতিমধ্যে ৮০শতাংশের বেশি ধান কাটা হয়ে গেছে।
ফাজিলপুর ইউনিয়নের শিবপুর এলাকার বাসিন্দা মো: মাসুদ জানান, প্রায় ১২০শতাংশ জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। রোপনে ৫শ ও কাটার জন্য ৯শ টাকা শ্রমিককে দিতে হচ্চে। এখনো অর্ধেক ধান জমিতে রয়েছে। পরিবারের চাহিদা মেটানো ও বীজের জন্য রেখে বাকি ধান তিনি বিক্রি করে খরচ মেটাবেন বলে জানান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: একরাম উদ্দিন ফেনীর সময় কে জানান, ধানের উৎপাদন এবার অন্য বছরগুলোর তুলনায় ভালো হবে। শ্রমিক সংকট ও মজুরি বাঁচাতে কৃষি যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ানোর প্রতি জোর দেয়া প্রয়োজন। এতে করে কৃষকদের খরচ সাশ্রয়ের পাশাপাশি উৎপাদন খরচ কমে যাবে। এর ফলে তারা বেশ লাভবান হবে।