লাইফস্টাইল ডেস্ক: করোনাভাইরাসের মধ্যেই এবার চোখ রাঙাচ্ছে নতুন এক সংক্রামক ভাইরাস ‘মাঙ্কিপক্স’। এটি খুবই সংক্রামক। যার এখনো নেই কোনো সঠিক চিকিৎসা। মাঙ্কিপক্স আসলে একটি জুনোটিক ভাইরাস।
যা প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে ছড়ায়। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রেইনফরেস্টের কাছাকাছি এলাকায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি ঘটে।
নাম ‘মাঙ্কিপক্স’ হলেও একাধিক বন্যপ্রাণীর মাধ্যমে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। এই ভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়ায় ইঁদুরের মাধ্যমে।
মাঙ্কিপক্স ভাইরাস অর্থোপক্স ভাইরাস পরিবারের সদস্য। এটি দুটি স্বতন্ত্র জেনেটিক স্ট্রেন বা আছে। মধ্য আফ্রিকান (কঙ্গো বেসিন) ক্লেড ও পশ্চিম আফ্রিকান ক্লেড।
কঙ্গো বেসিন ক্লেড আরও সহজে ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি এর লক্ষণও বেশি গুরুতর। যুক্তরাজ্য ও কানাডায় মাঙ্কিপক্সের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর বেশিরভাগই যৌন সম্পর্কযুক্ত বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের এক বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছেন মাঙ্কিপক্স নামক একটি বিরল ভাইরাসে। জানা যায়, তিনি নাইজেরিয়া গিয়েই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, এরই মধ্যে ১২ দেশের মোট ৮০ জনের মধ্যে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। ভাইরাসটি খুবই সংক্রামক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। নাক, মুখ, চোখের পাশাপাশি আক্রান্তের পোশাক থেকেও সংক্রমিত হতে পারে এই ভাইরাস।
মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ কী কী?
কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, পেশিতে ব্যথা, গায়ে হাত পায়ে ব্যথা ইত্যাদি মাঙ্কিপক্সের প্রাথমিক কিছু উপসর্গ। এছাড়া মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলে শরীরের বিভিন্ন লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠে। শরীরে ছোট ছোট অসংখ্যা ক্ষতচিহ্নের দেখা মেলে।
ধীরে ধীরে সেই ক্ষত আরও গভীর হয়ে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। গুটি বা জলবসন্তের সঙ্গে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গে মিল আছে বলে অনেকেই প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগকে বসন্ত বা চিকেন পক্স বলে ভুল করছেন।