দৈনিক ফেনীর সময়

ছনুয়ায় ভিক্ষুককে ইটের ভাটায় নিয়ে গণধর্ষন, ৫ শ্রমিক গ্রেফতার

ছনুয়ায় ভিক্ষুককে ইটের ভাটায় নিয়ে গণধর্ষন, ৫ শ্রমিক গ্রেফতার

সদর প্রতিনিধি :

ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নে এক ভিক্ষুককে আর্থিক সহায়তা দেয়ার কথা বলে ইটের ভাটায় ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে কয়েকজন শ্রমিক। এ ঘটনায় জড়িত ৫ শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার সকাল ১০টার দিকে লেমুয়া বাজার এলাকায় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের কাছে ভিক্ষাবৃত্তি করেন এক নারী। ঘোরাফেরা করা অবস্থায় মেহেরাজ নামে এক যুবক তাকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার কথা বলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন ছনুয়া ইউনিয়নের এবিএম ব্রিকফিল্ডে নিয়ে যায়। সেখানে শ্রমিকদের থাকার কক্ষে মেহেরাজ তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর পালাক্রমে সমির, দেলোয়ার হোসেন, তারেক, রমজান আলী, বাবু, মেহরাজ, রিদন সহ কয়েকজন ওই নারীকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তাকে বাসে উঠিয়ে দেয়ার জন্য মহাসড়কে নিয়ে গেলে শোরচিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়।

সূত্র আরো জানায়, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাৎক্ষনিক সমির, দেলোয়ার হোসেন, তারেক, রমজান আলী, বাবুকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সমির নোয়াখালীর হাতিয়া থানার ইউনুছপুর গ্রামের হেজু সর্দার বাড়ির জামাল মিস্ত্রীর ছেলে, দেলোয়ার একই থানার মন্নাননগর প্রকল্পের আব্দুর মোনাফের ছেলে, তারেক ভয়েরচর গ্রামের জহিরের ছেলে, রমজান সুধারাম থানার মঞ্জু চেয়ারম্যান পাড়ার আদর্শগ্রামের আব্দুস সোবাহানের ছেলে, বাবু একই এলাকার আলী হোসেনের ছেলে। পলাতক আসামীদের মধ্যে মেহরাজ ইউনুছপুর এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে, রিদন ও সালাউদ্দিনের বাড়ির পরিচয় জানা যায়নি।

মামলায় ওই নারী উল্লেখ করেন, রাজু নামে তার ১০ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। মাদরাসায় লেখাপড়ার জন্য ও সংসারের খরচ চালানোর জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে ভিক্ষা করেন।

ফেনী মডেল থানার ওসি মো: শহিদুল ইসলাম চৌধুরী ওই ঘটনায় ৫ জনের গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নির্যাতনের শিকার নারী বাদি হয়ে ফেনী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!