দৈনিক ফেনীর সময়

তারুণ্যের জন্য দায়িত্বশীলদের সেরা উপহার

তারুণ্যের জন্য দায়িত্বশীলদের সেরা উপহার

উপ-সম্পাদকীয়

মোহাম্মদ সফিউল হক :

আজকের শিশুই আগামী দিনের ভবিষ্যত-এই মন্ত্রে দিক্ষীত হয়ে শিশুদেরকে যোগ্য মানুষ করে গড়ে তোলা সকলের দায়িত্ব। সময়ের পরিবর্তনে শিশুই একদিন তরুণে পরিণত হয়। প্রত্যেকটি জাতির ভবিষ্যত নির্ভর করে সে জাতির তরুণ-তরুণীদের বেড়ে উঠা কিংবা যোগ্য হওয়ার উপরে। যে জাতির তরুণ সম্প্রদায় যতবেশি যোগ্য ও দক্ষ হবে সে জাতি ততবেশি উন্নতি করবে। তাই সুষম সমাজ এবং আধুনিক কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে যুবসমাজের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জাতীয় সঙ্কটের দিনে তরুণরাই সবার আগে এগিয়ে আসে, দেশ ও মাটির জন্য অকাতরে জীবন বিলিয়ে দেয়, বাধার দুর্লঙ্ঘ প্রাচীর পেরিয়ে রাত্রির বৃন্ত থেকে ফুটন্ত সকালকে ছিঁড়ে আনে। আমাদের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণআন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণআন্দোলন ইত্যাদি রাজনৈতিক সঙ্কটে শক্ত হাতে হাল ধরেছিল এ দেশের তারুণ্য শক্তি তথা যুবসমাজ।

তারুণ্য প্রতিটি জাতির জাতীয় শক্তি। এসময় তরুণ-তরুণীরা কোন বাঁধাই মানতে চায়না। তারুণ্যের সময় এরা ধ্বংসও আনতে পারে আবার ধ্বংসের উপর দাঁড়িয়ে গড়তেও পারে। তারুণ্যের শক্তিকে যদি সঠিকভাবে গঠন করে কাজে লাগানো যায় তবে মূহুর্তেই রাষ্ট্রের ধূসর মলিন চেহারা বদলে যেতে বাধ্য। তবে তরুণ-তরুণীদের অসম শক্তি অর্থ্যাৎ তারুণ্যকে সঠিক দিক-নির্দেশনা দিয়ে যোগ্য মানুষে পরিণত করে কাজে লাগাবে কে ? সবাই যদি ব্যক্তির ক্ষুদ্র স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত থাকে তবে তরুণের বৃহৎ স্বার্থ দেখবে কে ? তরুণ-তরুণীর নীতি নির্ধারকদের স্বার্থবাদী আচরণের কারণে তরুণরাও স্বার্থবাদী হতে বাধ্য হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে সর্ববাদী কিংবা পরার্থবাদী মানুষ গঠন হচ্ছে না। সমাজ কিংবা রাষ্ট্রও সমাজ সংস্কার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যে কারনে সার্বিক উন্নতির বিপরীতে রাষ্ট্রও সেই পূর্বের অবস্থানে পড়ে রয়েছে। তরুণরা সঠিক দিক-নির্দেশনা না পাওয়ায় এবং দায়িত্বশীলদের অবহেলা কিংবা দায়িত্বহীন আচরণের কারণে তরুণ-তরুণীরা হতাশ হয়ে দিন দিন বিপথগামী হচ্ছে। যে কারনে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অস্থিরতার সৃষ্টি হচ্ছে এবং শান্তির ছোঁয়াও ধূসর থেকে আরও ধূসর হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে।

বেঁচে থাকার জন্য সর্বার্গ্রে প্রয়োজন খাদ্য। তরুণ-তরুণীদের বেঁচে থাকা এবং শরীর গঠনের জন্য খাঁটি খাদ্যের বিকল্প নাই। তবে কোথাও নির্ভেজাল খাদ্য পাওয়ার সুযোগ নাই। উৎপাদক কিংবা কৃষক পর্যায় থেকে শুরু করে বিক্রেতা পর্য্ন্ত সবাই কেবল ভেজাল দিয়েই যাচ্ছে। কেউ কারও স্বার্থ রক্ষার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করছে না । জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে খাদ্য দ্রব্যের সাথে মিশ্রিত করা হচ্ছে মারাত্মক সব রাসয়নিক বিষ । যা খাদ্যের সাথে মানুষের শীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। এ ধরণের বিষাক্ত খাদ্য ভক্ষণ করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তরুন-তরুণীরা। ফলশ্রুতিতে, তরুণ-তরুণীরা শারীরিকভাবে পূর্ণ সুস্থ থাকছে না। যে কারনে আগামীর চ্যালেঞ্জ গ্রহন করার যে শক্তি-সামর্থ্য অর্জন করা দরকার আজকের তরুণ-তরুণীরা তা পারছে না।

শিক্ষাকে বলা হয় জাতির মেরুদন্ড। জাতির জাতীয় উন্নতির সাথে শিক্ষা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। যে জাতি যতবেশি শিক্ষিত হবে সে জাতির ততবেশি উন্নতি হবে । শিক্ষার্থীরা শিক্ষার নামে শিখছে কি ? শতভাগ পাস, শিক্ষাক্ষেত্রে বিপ্লবের স্বপ্ন ভ্রম এবং জিপিএ-৫ এর বন্যা বইয়ে দিতে গিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রায় মূখ থুবড়ে পড়েছে । শিক্ষার হার বাড়লেও শিক্ষার মান বৃদ্ধি না হয়ে ক্রমাবনতি হয়েছে । শিক্ষা ব্যবস্থায় নকল চরম আকার ধারণ করেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা দুর্নীতির ছোঁয়া আজ সর্বত্রই। শিক্ষার ক্ষেত্রে নৈতিক বা আদর্শিক দিকটা বার বার উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। আমাদের শিক্ষার অন্তঃসারশূন্য অবস্থা ফুটে উঠেছে শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের কথায়-“ডাক্তারী মতে ‘ক্লিনিক্যালি’ জীবিত বলে রোগীর যে অবস্থাটা বোঝানো হয় বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাটা তাই। মৃত্যুর সব চিহ্ন প্রকট, সর্ব শরীর অসাড়, সর্ব ইন্দ্রিয় নিস্ক্রিয়, ক্রিয়া প্রতিক্রিয়াহীন তবু মৃত্যু ঘটেছে বলা যায় না। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাও আজ সব অর্থে বিকল। গোটা দেশ জুড়ে বিরাট একটা কাঠামো পড়ে আছে গল্পের দানবের মতো। গল্প হচ্ছেঃ দানবের হা মুখ এতো বিরাট যে কেউ পায়ে হেঁটে পেট পর্যন্ত পৌঁছে এতটুকু স্পর্শিত না হয়ে আবার ফিরে আসতে পারে। এটা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাতেও সম্ভব যে দেশের একজন নাগরিক প্রাথমিক শিক্ষায় ঢুকে উচ্চ শিক্ষার ভিতর দিয়ে স্বচ্ছন্দে বেরিয়ে আসতে পারেন শিক্ষা বস্তুটি দ্ধারা এতটুকু স্পর্শিত না হয়ে। মানুষকে এমন চরম অপদার্থ ও অকর্মণ্য বানাবার কারখানা দুনিয়ার আর কোথায় আছে আমার জানা নাই।” এছাড়াও শিক্ষা কাঠামোতে বার বার পরীক্ষণ পর্যবেক্ষন চালানোর কারনে শিক্ষার্থীরাও বিব্রত বোধ করছে। কাজেই যে তরুণরা প্রকৃত শিক্ষা পাবে না তাদের দ্বারা জাতি ভবিষ্যতে কি আশা করতে পারে ?

সংস্কৃতি আসলে একটা দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার, একটি জীবনবোধ বিনির্মাণের কলাকৌশল। এটি মানুষের জীবনের একটি শৈল্পিক প্রকাশ, সমাজ জীবনের স্বচ্ছ দর্পণ। এ সংস্কৃতির দর্পণে তাকালে কোন সমাজের মানুষের জীবনাচার, জীবনবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গীর প্রতিচ্ছবি দেখা যায়। সংস্কৃতি যেমন জীবনকে সুন্দরের পথ দেখায় আর অপসংস্কৃতি মানুষকে অসুন্দরের পথে নিয়ে যায়, অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়। অপসংস্কৃতি জাতীয় মূল্যবোধকে গলাটিপ হত্যা করে, বিবেকের দরজায় কড়া লাগায়। অপসংস্কৃতি মানুষকে তাঁর মা, মাটি ও দেশের প্রতি ভালবাসা থেকে দূরে সরিয়ে নেয়। এ অপসংস্কৃতির চকম মরীচিকার মত। এর চমক মানুষকে বিবেক বর্জিত পশুতে পরিণত করে। মুক্ত আকাশ সংস্কৃতির যে রঙীন জীবনবোধ তা আমাদের দেশীয় জীবনবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গিকেও প্রতিনিয়ত আঘাত করছে। অপসংস্কৃতি রূপে স্যাটেলাইটে প্রতিনিয়ত আমাদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে বস্তুবাদিতা, ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা, আর নগ্নতার হাজারোপাঠ। এই সব অপসংস্কৃতির রঙ্গীন বিষয়বস্তু অনেক রঙ ঢঙ আর লালসার আবরণ লাগিয়ে পসরা সাজিয়ে ধরছে আমাদের সামনে। ফলে মনের অজান্তেই আমাদের যুব সমাজ ছুটছে এই স্বপ্নিল ভুবনের দিকে। হারিয়ে ফেলছে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, নিজস্ব জীবনবোধ। যে কারনে সমাজে অপরাধের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে এবং পারিবারিক ও সামাজিক কাঠামো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়ার মূখে। তবুও এ থেকে উত্তরণের জন্য দায়িত্বশীলদের কারো কোন ধরণের মাথা ব্যথা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

মাদকের আগ্রাসন এখন সর্বব্যাপী । শিশু থেকে শুরু করে সকল বয়সের অসংখ্য মানুষ মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে । বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের আসক্ত হওয়ার প্রবণতা এবং সংখ্যাই বেশি। প্রতিটি মাদকদ্রব্য স্বাস্থ্যের জন্য মৃত্যু ঝুঁকির। তবুও মাদকের লাগাম টানতে রাষ্ট্রের খুব বেশি পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না । তরুণ-তরুণীরা গাঁজা, ইয়াবা, শীশাসহ বেশ কয়েক ধরণের মরনঘাতী মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছে। হাস্যকর হলেও সত্য, মাদকসেবীদের ধাওয়া চলে কিন্তু মাদকের উৎস কোথায় তা তালাশ করা হয় না। যে জাতির তরুণ-তরুণী সমাজের বৃহৎ অংশ মাদকাসক্ত যে জাতির ভবিষ্যত কি হবে তা বোধহয় সহজেই অনুমেয়। ভবিষ্যতে কথা না হয় ক্ষনিকের জন্য ভূলে গেলাম কিন্তু বর্তমানে মাদকাসক্তদের নিয়ে যে সকল সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে তা যদি রোধ করা না যায় তবে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের বিশৃঙ্খলা ঠেকাবে কে ?

জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) বার্ষিক জনসংখ্যা প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য মতে, ‘বাংলাদেশে ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীর সংখ্যা ৪ কোটি ৭৬ লাখ। অর্থ্যাৎ তারা মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ’। এই তরুণরাই দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে এবং নেতৃত্ব দেবে। তরুণদের অবশ্যই মানুষের জন্য রাজনীতি করতে হবে। তাদের মেধা, সৃজনশীলতা, সাহস ও প্রতিভাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠে একটি জাতির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল। বলা হয়ে থাকে, ইতিহাস লেখে বয়স্করা, তৈরি করে তরুণরা। যুবসমাজ আত্মবিশ্বাসী, বলবান, সৃজনশীল ও উৎপাদনশীল শক্তি। তারা চঞ্চল কিন্তু বেগবান। সেভাবেই তরুণদের গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা সব সময় মানুষের জন্য কাজ করে। বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংঘঠন রয়েছে। তাতে স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাঁকিবাজ কিংবা মেধাবী পড়ুয়া ছাত্রদের একাংশ ছাত্ররাজনীতির সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়েছে। এটা ভবিষ্যতে জাতির নেতৃত্বদেয়ার স্পৃহাধারী ছাত্রদের জন্য যেমন কল্যানের তেমনি রাষ্ট্রের জন্য মঙ্গলের। দেখার বিষয়, রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্রদেরকে কোন স্বার্থে ব্যবহার করছে এবং অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িয়ে ছাত্ররা কি শিখছে ? স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় অস্থীতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি, খুন-খারাবিসহ কোন অপকর্মটি নেই যেখানে ছাত্ররাজনীতির ভূমিকা না আছে । এই যদি হয় ছাত্রদের আদর্শ তবে এরা জাতিকে দিতে পারবে কোন সাফল্য ? ভাবতে অবাক লাগে যখন বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখি, শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা, সামান্য কারণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিজেদের মধ্যে মারামারি কিংবা ঠুনকো কোন ইস্যু পেলেই ছাত্র-ছাত্রী কর্তৃক রাজপথ অবরোধ করে রাষ্ট্রীয় কিংবা ব্যক্তিগত সম্পদ ভাংচুর। শিক্ষার্থীরা হবে এই সমাজের আলোকবর্তিকা। সেই তারাই যদি অন্ধকারে হারিয়ে যায তবে সমাজের অন্য মানুষগুলোর পরিণাম কী ?

কবির ভাষায়- “এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময় তার”। ইসলাম ধর্মে যৌবনকালের ইবাদত ও কর্মকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আফ্রিকান একটি প্রবাদে বলা হয়েছে, ‘যৌবনে ঠিক না হলে বুড়ো বয়সে কেউ ঠিক হয় না।’ সুসাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী বলেন, ‘যৌবনে দাও রাজটিকা’। মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ ও দুর্লভ সময় হচ্ছে যৌবন। যুবসমাজ যদি বিপথগামী হয় তা হলে দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সুতরাং যে কোনো মূল্যে আমাদের যুবসমাজের অবৰয় রোধ করতে হবে। তরুণ সমাজকে জাতীয় সম্পদে পরিণত করার জন্য পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীলদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। বৃহৎ স্বার্থের কথা মাথায় রেখে তরুণদেরকে দিয়েই আগামীর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হবে। যেখানে কোন অনাচার কিংবা অত্যাচার থাকবে না। ভ্রাতৃত্ব ও সাম্যের বন্ধনে শান্তির ছোঁয়াই থাকবে সর্বত্র। সুতরাং তরুণ-তরুণীদেরকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সমাজে যতগুলো বাঁধা আছে তা দূর করে একটি স্থিতীশীল পরিবেশের ব্যবস্থা দায়িত্বশীলদেরকে করে দিতে হবে। আমাদের তরুণ-তরুণীদের জন্য এটাই হোক দায়িত্বশীলদের শতাব্দীর সেরা উপহার।

লেখক : ব্যাংকার, কবি ও প্রাবন্ধিক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!