সৈয়দ রেজাউল করিম বেলাল
দেশে সামাজিক অপরাধ ক্রমাগত বাড়ছে। রাস্তা-ঘাটে, স্কুল-কলেজের সামনে, রাস্তার মোড়ে, গলির মুখে, মার্কেট ও শপিংমলে কিছু বখাটে ছেলে দাঁড়িয়ে মেয়েদেরকে উক্ত্যক্ত করে। এতে মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। উক্ত্যক্তের যন্ত্রণায় কেউ কেউ আবার আত্মহত্যার পথও বেছে নেয়। এতে সামাজিক অস্থিরতা বাড়ে, শান্তি বিনষ্ট হয়। আইন শৃঙ্খলার অবণতি ঘটে। সুশীল সমাজ ও দেশ ধাবিত হয় ধ্বংসের দিকে। মেয়েদের প্রতি এমন আচরণ ও উত্যক্ত করাকে বলা হয়েছে ‘ইভটিজিং’। ইভটিজিং-এর দৃশ্য/ঘটনা কেবল বাংলাদেশের শহরেই নয়। গ্রাম, নগর সবখানেই ইভটিজিং-এর ঘটনা ঘটছে। রাস্তায়, বাসে, ট্রেনে, শপিং মলে, বাজারে বিদ্যালয়ে এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়েও আছে ইভটিজিং।
নারী উত্ত্যক্তকরণ বা ইংরেজি পরিভাষায় ইভটিজিং প্রকাশ্যে যৌন হয়রানি, পথে ঘাটে উত্যক্ত করার বা পুরুষ দ্বারা নারীনিগ্রহ নির্দেশক একটি কাব্যিক শব্দ। যা মূলত: ভারত পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলংকায় ব্যবহৃত হয়। ‘ইভ’ দিয়ে পৌরানিক আদিমাতা ‘হাওয়া (আ:) অর্থে সমগ্র নারী জাতিকে বোঝানো হয়। এটি তারুণ্যে সংঘটিত একধরনের অপরাধ। ইভটিজিং শব্দের ব্যাখ্যা-য় ‘ইভ’ অর্থ নারী, ‘টিজিং’ মানে উত্যক্ত বা বিরক্ত করা। সহজ ভাষায় বলা যায় ইভটিজিং মানে নারীদের উত্যক্ত করা।
বাংলাদেশে ইভটিজিং-এর কিছু কিছু ঘটনার খবর ফুটে ওঠে গণমাধ্যমে, সংবাদপত্র, টেলিভিশনে আন্তর্জাতিক মাধ্যম বিবিসি, জার্মান বেতারে (ডয়েচে ভেলে) প্রচারিত রিপোর্টে বল হয়- “সংবাদপত্রে অনেক খবরই আসেনা। প্রকৃতচিত্র আরও ভয়াবহ। জার্মান বেতারে পাঁচ বছর আগে জানিয়েছিলো ঐ বছর (২০১৭) এদেশ পাঁচ মাসে ইভটিজিংয়ের ঘটনা ঘটে ১০৮টি এবং সাত তরুণী আত্মহত্যা করে। সে বছর মে মাসেই ২১টি ঘটনায় দু’জন তরুণী আত্মহত্যা করে। তারপূর্বে আড়াই বছরে আত্মহত্যা করেছে ৪০ জন। ২০১৫ সালের জানুয়ারী থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত ইভটিজিং-এর ঘটনা ঘটেছে ৭৫৪টি। পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নেত্রী রাখীদাস পুরকায়স্থ জার্মান বেতারকে জানিয়েছিলেন, লোক-লজ্জার ভয়ে সকল সময় অনেক তথ্য প্রকাশ পায় না।
ইভটিজিংয়ের সংজ্ঞা অনেক বিস্তৃত। কোনো নারী বা কিশোরীকে তার স্বাভাবিক চলাফেরা বা কাজকর্ম করা অবস্থায় অশালীন মন্তব্য করা, ভয় দেখানো, তার নাম ধরে ডাকা ও চিৎকার করা, বিকৃত নামে ডাকা, কোনো কিছু ছুঁড়ে দেওয়া, ব্যক্তিত্বে লাগে এমন মন্তব্য করা, ধিক্কার দেওয়া, তার যোগ্যতা নিয়ে টিটকারি ক করা, তাকে নিয়ে অহেতুক হাসাহাসি করা, রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে না দেয়া, সিগারেটের ধোঁয়া গায়ে ছোড়া, উদ্দেশ্যমূলকভাবে কিছু নেওয়া, গান, ছড়া বা কবিতা আবৃত্তি করা, চিঠি লেখা পথবোধ করে দাঁড়ানো। প্রেমে সাড়া না দিলে হুমকী প্রদানের মতো বিষয়গুলো ইভটিজিংয়ের মধ্যে পড়ে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার এই যুগে মুঠোফোন/মোবাইল ও ফেসবুকের মাধ্যমেও ইভটিজিং হয়ে থাকে।
ইভটিজিং বলতে একটা চিত্র চোখে আসে, কিছু মেয়ে স্কুলে যাচ্ছে, আর বখাটে কিছু ছেলে পথে দাঁড়িয়ে দু’টো শব্দউড়িয়ে দিছে। বাউরে ইভটিজিং বিষয়টি এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। এর প্রয়োগ অনেক ব্যাপক। যেমন:- আপনার অফিসে একজন নারীকে হেয় করে কিছু বললেন-সেটা ইভটিজিং। পুরুষ শিক্ষক নারী শিক্ষার্থীকে তুচ্ছজ্ঞান করলেন বা কোনো দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখলেন সেটাও ইভটিজিং। বাসে মহিলা সিট খালি নেই বলে একজন নারীকে কন্ডাক্টর বাসে উঠতে দিলেন না- সেটাও ইভটিজিং। এমনকি বাবা ঠাট্টা ছলে মাকে বললেন “মেয়েলোকের বুদ্ধি কম- এটাও ইভটিজিং। কোনোদিন একবারও উত্ত্যক্ত হননি এমন নারী পাওয়া বিরল আমাদের দেশে। এমন ইভটিজিংয়ের মূল কারণ। একটি শক্তির শ্রোতের প্রভাবে যেখানে পুরুষরা সামাজিকভাবে শক্তিশালী, আর নারীরা দুর্বল। সঞ্চা- একটি সামাজিক মানসিক প্রচেষ্টার ফল। যদিও আমাদের দেশে শরীরের নারীরা আছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ স্তরে সর্বোত্তম পর্যায়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধী দলীয় নেত্রী নারী, জাতীয় সংসদের স্পীকার নারী, প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর, মন্ত্রনালয়ের সচিব ও জেলার প্রশাসকও (ডিসি) আছেন ‘নারী’। আইনও রয়েছে দÐবিধির ৫০৯ ধারায় ইভটিজিংয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছরের জেল।
ষাটের দশকে এই বিষয়টি গণমাধ্যমের নজরে আসে। পরবর্তী দশকে যখন অধিকসংখ্যক মেয়েরা বিদ্যালয় ও কর্মক্ষেত্রে যেতে থাকে ঐতিহ্য পরিপন্থী হয়ে, অর্থাৎ পুরুষের বা অভিবারকের সাহায্য ছাড়া। আধুনিক সমাজে ইভটিজিং শব্দটি যৌন হয়ররানী হিসেবে চিহ্নিত হয়। এই সামাজিক অপরাধ প্রতিহত করতে ভারতীয় সরকার মজাগ হয়। বিচারিক ও আইনগতভারে এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশ তৎপর থাকে, বিশেষত: ইভটিজারদের ধরতে সচেষ্ট হয়। ভারতে এনে মহিলা পুলিশের যোগ ভালো ফল দেয়। তামিলনাড়– সবার ইভটিজিং-এজামিন অযোগ্য অপবাধ হিসেবে চিহ্নিত করে। আন্দোলনের ফলে ১৯৮৪ সালে দিল্লী ইউটিজিং বিল পাশ হয়।
বাংলাদেশে ১৯৭৬ সালে ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অভিনাস ইভটিজিং নাম পরিবর্তন করে ওমেনটিজিং-নাম দিয়ে সংাতি করা হয়। একবিশ শতাব্দীতে এসে বলা ইউটিজিং কেবল আরম্ভ নয়- এর শিকড় অনেক আগে থেকেই আমাদের সমাজে বিদ্যমান। আইনের দন্তবিধি ব্রিটিশ আমল থেকে ইন্ডিয়া, তারপর পাকিস্তান থেকে- বাংলাদেশ, বলাযায়, প্রায় একইরকম। ইভটিজিং- এর মূল কারণ এমন একট। শক্তির প্রভাব যে, যেখানে পুরুষরা সামাজিকভাবে শক্তিশালী, আর নারীরা দুর্বল। বাংলাদেশ ভিন্ন মেরুকরণে। এদেশে নাবীরা আছেন রাষ্ট্রের সর্বোত্তম পর্যায়ে।
ইভটিজিং ও আদমটিজিং : পৃথিবীর প্রথম মানব হযরত আদম (আ:) এবং প্রথম মানবী হাওয়া (আ:)। খ্রিস্টান ধর্মের ধর্মীয় গ্রন্থ বাইবেল তথা ইনজিলে হাওয়াকে (ইভ) নামে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইভ’ বলতে সমগ্র নারী শক্তী জাতিকে বোঝানো হয়েছে। এর বিপরীতে আমরা আদম বলতে সমগ্র পুরুষ জাতিকে বুঝাতে পারি। (ইভ (ঊঠঊ): বাইবেলে খ্রিস্টানরা ‘ইউ মানে বিধি হাওয়াকে বুঝায়। যদিও কেবলমাত্র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ৪টি দেশেই ইভটিজিং (বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল) নিয়ে অতি আগ্রহ হৈ হুল্লোর। এই কফ্ দেশের কিছু পথভ্রষ্ট লোক বিষয়টি নিয়ে মত বেশী উৎসাহিত, বাইবেল- ইনজিল ধর্মগ্রন্থেরর অনুসারীরা বিষয়টি নিয়ে মোটেই আগ্রহীনয়। স্বভাবতই মনে প্রশ্নজাগে বিপরীত মেরুতে অর্থ্যাৎ আদর্শটিজিং নিয়ে। যারা আদম বা ছেলেদের টিজিং করে তাদের অপরাধও একই পর্যায়ের। মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক যে কোন কারণে ইভটিজিং করতে আদমদের উৎসাহ জোগায়। যার জন্যে সামাজিক আন্দোলন এবং রাষ্ট্রিয় আইন থাকা ফেসবুক দরকার। আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গন কলুষিত। চলচ্চিত্র, ফেসবুকে ইন্টারনেট বলুন আর নাটক বলুন, ওয়েবপেজ-এ অঙ্গভঙ্গি পোষাক যৌন আবেদন এসব কিছুতে যুব সমাজ সংক্রমিত। অশ্লিল সিনেমা, স্পর্শকাতর কয়েক ইঞ্চি জায়গায় মাত্র কয়েক টুকরা কাপড় পরিহিত অব¯’ায় অ¤øীল মন ড্যান্স দেখে একজন যুবক (আদম) কি যৌন আবেদন অনুভব করে না? তাতে কি আদর্শ টিজিং হয় না। কোনো শিশু জন্মের না বর্ষার পর কৈশোর যৌবনে পরিবার ছাড়িয়ে ছেড়ে আত্মীয়-পরিজন মা-বাবার আকলমন্দে। তারপর পাড়া-প্রতিবেশী, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকমন্ডলী, সমাজ ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় কে শিক্ষাগ্রহণ করে। সমাজ ও রাষ্ট্রে কু-শিক্ষার প্রভাবে এবং পরিবেশে নৈতিক চরিত্র বিধ্বংসী তৎপরতায় সে প্রভাবিত হয়। যেমন : বর্তমানে দেশে মাদক-এর প্রভাবের পাশাপাশি মোবাইল, বুঝাইবুকে ফেসবুকে আবেদন, অত্যাচার, যৌন উন্মাদনা সৃষ্টিকারী উপকরণ, যা আদমকে (পুরুষকে) সদা প্ররোচিত করেছে। আদম টিজিং-এ। পাশ্চাত্যের জোয়ারে গা ভাসিয়ে এক শ্রেণীর নারী দেহ প্রদর্শনের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনীর নামে নারীকে পণ্য হিসেবে বাজারে বিক্রয়ের পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে। যা নারীর মান সম্মান, ইজ্জত-আব্বুর প্রতি এক ভয়ানক এতে নারীকে উক্ত উত্ত্যক্ত করার প্রতি এক ধরণের পদক্ষেপ। উৎসাহ দেয়া হচ্ছে শালীনতাবোধ ও ধর্মীয় অনুভূতি শালীনতার আরবী প্রতিশব্দ তাংশিক। যার অর্থ ভদ্রতা, নম্রতা ও লজ্জাশীলতা। আচার-আচরণে, কথাবার্তায়, বেশভূষায় ও চালচলনে মার্জিত পন্থা অবলম্বন করাকে দেশে শিক্ষামন্ত্রণালয় ১৩ই জুনকে ইভটিজিং প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা করেছে। যা প্রতি বছর পালন করা হয়, নারী উত্ত্যক্তকর প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে ২০১০ সাল থেকে। শালীনতা বোঝায়। শালীনতা মানুষের একটি সহ্যগুণ। ৭ শালীনতাবোধ মানুষকে অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিস্তৃত রাখে। শালীনতাপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে সহনশীলতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। পক্ষান্তরে অভদ্র ও অশালীন আচরণ মানুষকে বন্ধুকেও দূরে ঠেলে দেয়। অনুষ অর্থালীন ব্যক্তিকে পচন্দ করে না। তার- সৃষ্টিচার্য পরিত্যাগ করেন মহানবী (স.) বলেন, ‘মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যার অশ্লীলতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য লোকেরা তাকে পরিত্যাগ করে। (বুখারী)। ইভটিজিং বা তামাশা নিয়ে সূরা বাকারা ১৫ আয়াত; ! আল্লাহ ওদের তামাশার প্রতিফল দেবেন। তিনি কিছু সময়ের জন্যে ছাড় দিয়েছেন রেখেছেন, যাতে ওরা ওদের অহমিকা, অবাধ্যতা ও বিভ্রান্তির মধ্যে ঘুরপাক খেতে পারে। ওরা নিজেরাই হেদায়েতের সহজসরল পথের বিনিময়ে বিভ্রান্তির পথ বেছে নিয়েছে। এই বিনিময় ওদের জন্যে লাভজনক হয়নি। বরং ওরা বিভ্রান্তির বৃত্তে আটকে গেছে। ওরা আসলেই পথ হারিয়েছে।
ইভটিজিং ও আদমটিজিং আলোচনায় সৃষ্টিকর্তার সূরা আদেশ-উপদেশের দিকে নজর দেয়া যায়। পবিত্র কুরপারের নূর-এ বাদর আল্লাহ তাআলা রসুল (স) কে বলেছেন: (হে নবী!) বিশ্বটাকে বলে বিশ্বাসী পুরুষদের বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে শালীন রাখে, লজ্জাস্থান ঢেকে চলে এবং যৌনাকাক্সক্ষাকে সংযত রাখে। এটি তাদের শুদ্ধাচারী করে তুলবে। তারা যা করে, আল্লাহ সে-সম্পর্কে সম্পর্ক ওয়াকিবহাল।কইভাবে আল্লাহ পরবর্তীটি একই বলেছেন: (হে নবী) বিশ্বাসী নারীদের বলো, তারা যেনো তাদের দৃষ্টিকে শালীন রাখে, লজ্জাস্থানসমূহ ঢেকে চলে এবং যৌনাকাক্সক্ষাকে সংযত রাখে। সাধারণভাবে যা প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য ও মাধুয় যেন জনসম্মুখে প্রকাশ না করে। তাদের ঘাড় ও বুক যেন মাথার ওড়না দ্বারা ঢাকা থাকে। স্বামী, পিতা, শ্বশুড়, ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই ভাতিয়া, ভাগিনা, আত্মীয়া, দামী, যৌনকামনা রহিত পুরুষ কর্মচারী, নারী-অঙ্গ সম্পর্কে অসচেতন শিশু ছাড়া অন্য কারো সামনে যেন তাদের সৌন্দর্য-মাধুর্য প্রকাশিত না হয়, সে ব্যাপারে তাদের সচেতন থাকতে হবে। হাঁটার সময় তারা যেন এমনভাবে পা না নাড়ায়, যা তাদের গোপন সৌন্দরে্যর দিকে অন্যের মনোযোগকে আকৃষ্ট করে “হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা সবসময় সকলে মিলে আল্লাহর কাছে তওবা করো, যাতে তোমরা সফল হতে পারে- (২৮: ৩১)।”
পরিশেষে, একজন সমাজবিজ্ঞানীর অভিমত উল্ল্যেখ করা যায়। তাঁর মতে ইভটিজিং একটি সামাজিক সমস্যা। তাই, এটি বন্ধ করতে প্রয়োজন মানুষের প্রচলিত মানসিকতার পরিবর্তন। আর এই পরিবর্তনের জন্য ক্যাম্পেইন বা প্রচারকাজ খবুই গুরত্বপূর্ণ। অর্থ্যাৎ একদিকে আইন এবং অন্যদিকে জনসচেতনামূলক উদ্যোগ-এ ছুঁয়ে সিলেই তৈরি হবে ‘ইভটিজিং মুক্ত সামাজিক পরিবেশ।
লেখক : সাংবাদিক, ইসলামীগবেষক, কলামিস্ট।