দৈনিক ফেনীর সময়

‘পেয়ারা দাদা সাংবাদিকতাকে সমৃদ্ধ করেছেন’

‘পেয়ারা দাদা সাংবাদিকতাকে সমৃদ্ধ করেছেন’

নিজস্ব প্রতিনিধি :

মাহবুব উল হক পেয়ারা ফেনীর উন্নয়ন-অগ্রগতিতে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি ফেনীর সাংবাদিতাকে যেমন সমৃদ্ধ করেছেন এর পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গন, শিক্ষাঙ্গন, সামাজিক কর্মকান্ডে তার ভূমিকা অনুকরনীয় হয়ে থাকবে। আমৃত্যু তিনি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করে গেছেন। তার জীবন কর্ম থেকে বর্তমান প্রজন্মের অনেক কিছু শেখার আছে। বুধবার সন্ধ্যায় ফেনী প্রেস ক্লাবে ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় তাঁর সহকর্মী ও স্বজনরা এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, তিনি অর্থবিত্তের পিছনে ছুটেননি। তিনি মানুষের সুখ-দু:খের কথা তুলে ধরতেন। এ অঞ্চলের সমস্যা-সংকট সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।

ফেনী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাপ্তাহিক ফেনীবার্তা সম্পাদক মীর হোসেন মীরুর সভাপতিত্বে এবং চ্যানেল আই প্রতিনিধি রবিউল হক রবির সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রয়াত পেয়ারা দাদার ছেলে ফেনী ডায়াবেটিক সমিতির সহ-সভাপতি সামিউল হক শাহীন. ফেনী দর্পন সম্পাদক মাহবুবুল আলম, সংগ্রাম প্রতিনিধি একেএম আবদুর রহীম, সমকাল নিজস্ব প্রতিনিধি শাহজালাল রতন, বাসস এর ন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জ তানভীর আলাদীন, দৈনিক ফেনীর সময় সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, সময় টিভির সহযোগি সিনিয়র রিপোর্টার আতিয়ার সজল, মানবজমিন ও বিডি নিউজ প্রতিনিধি নাজমুল হক শামীম, যমুনা টিভির স্টাফ রিপোর্টার আর.এম আরিফুর রহমান, স্বদেশপত্র সম্পাদক এনএন জীবন, আমার সংবাদ প্রতিনিধি এসএম ইউসুফ আলী, দীপ্ত টিভি প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুন, অজেয় বাংলার নির্বাহী সম্পাদক শাহজালাল ভ‚ইয়া, দেশ রুপান্তর প্রতিনিধি শফি উল্লাহ রিপন প্রমুখ।

‘শাহীন প্রিন্টার্স ছিলো মিনি প্রেস ক্লাব’

“ফেনী শহরের মিজান রোডে সাংবাদিক মাহবুব উল হক পেয়ারার শাহীন প্রিন্টার্স ছিলো মিনি প্রেস ক্লাব। তখন সেখানে সাংবাদিকদের আড্ডায় মুখর থাকতো। মাহবুব উল হক পেয়ারা সবার কাছে পেয়ারা দাদা হলেও আমার ছিলেন মামা। সেই সূত্রে তাঁকে কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে।”

বরেণ্য সাংবাদিক মাহবুব উল হক পেয়ারার ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ফেনী প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “পঞ্চাশের দশকে পেয়ারা মামা সাংবাদিকতায় আসেন। তিনি কখনো খন্ডিত বা অতিরঞ্জিত সংবাদ লিখতেন না। কোন খবর পেলে যাচাই-বাছাই করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ছুটে যেতেন। তিনি পরিপূর্ণ সংবাদ লিখতেন বলেই কখনো তাঁর লেখার প্রতিবাদ পর্যন্ত আসতো না। তাঁর পুরো জীবন ছিল পরিচ্ছন্ন।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!