দৈনিক ফেনীর সময়

ফেনীতে ধর্ম পরিচয় গোপন করে পরকিয়া, ধর্ষণ মামলায় আইনজীবী কারাগারে

ফেনীতে ধর্ম পরিচয় গোপন করে পরকিয়া, ধর্ষণ মামলায় আইনজীবী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিনিধি :

পিপলু মজুমদার। ফেনী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী। ধর্ম পরিচয় গোপন করে এক মুসলিম গৃহবধূর সঙ্গে পরকিয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। বিয়ের প্রলোভনে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন দুই সন্তানের ওই জননীকে।পরে ওই গৃহবধু জানতে পারেন পিপলু হিন্দু ধর্মের অনুসারী। তারপর প্রতারণা করে ধর্ষণ করার অভিযোগ এনে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন তিনি। পিপলু ফেনী শহরের মাষ্টারপাড়া এলাকার স্বর্ণলতা ভবনের বাসিন্দা প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেত্রী সন্ধ্যা রানী দত্তের ছেলে। সে বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ফুলগাজী উপজেলার পুরাতন মুন্সিরহাট এলাকার ওই গৃহবধু উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় অধীনে ফেনী সরকারী কলেজে বিএসএস দ্বিতীয় সেমিষ্টারে অধ্যয়নরত। মাস দুয়েক আগে এডভোকেট পিপলুর সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। পিপলু তার নাম মোশারফ হোসেন তুহিন ও ব্যাংকার হিসেবে পরিচয় দেয়। এর সূত্রধরে মোবাইল নাম্বার আদানপ্রদান হয়। চলে ফোনালাপ। বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিজেকে অবিবাহিত বলে স্বামীকে তালাক দিতে নানাভাবে প্ররোচনা দেয়।

এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, একপর্যায়ে গৃহবধূকে বিয়ে করার আশ্বাস দিলে গত মঙ্গলবার দুপুরে দুই ছেলেকে নিয়ে পিপলুর ফেনী শহরের বিরিঞ্চি এলাকার আতিকুল আলম সড়কের কাজী মঞ্জিলের নিচ তলার বাসায় যান। বিয়ের কথা বললে ২/৪ দিনের মধ্যে বিয়ের আশ্বাস দেয়। ওইদিন রাত ৭টার দিকে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। এরপর গৃহবধু জানতে পারেন পিপলু হিন্দু ধর্মের (সনাতন ধর্মাবলম্বী) এবং আইনজীবী। তারপরও বিয়েতে রাজি হন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওই বাসায় একাধিকবার তাকে ধর্ষন করে।

মামলার বাদী জানান, পরিচয়ের শুরুর দিকে প্রতারক পিপলু বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বামীকে তালাক দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। অথচ তিনদিন বাসায় রাখার পর বিয়ে না করে তালবাহানা করে। পরবর্তীতে তাকে কেউ গ্রহন করবে না, তার সাথে থাকতে হবে বলে ভয়ভীতি দেখায।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো: বেলাল হোসেন জানান, গৃহবধুর অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে আতিকুল আলম সড়কের ওই বাসা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে পিপলু ও গৃহবধুকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার ফেনী মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে পিপলুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি আরো জানান, শুক্রবার মামলার বাদী গৃহবধুর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী রবিবার আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহনের কথা রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!